নিজস্ব প্রতিবেদক
টেকনাফে হতদরিদ্রের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিতরণ ও বিক্রিতে চাঁদা দাবীর অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় ৭ আসামী খালাস পেয়েছেন।
তারা হলেন- টেকনাফ সদরের ৫ নং ওয়ার্ডের মহেশখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫), মো. ইব্রাহিম (২৮), সাইফুল ইসলাম (২১), মৃত আবদুস সালামের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪২), তজিল আহমদ প্রকাশ মংগ্ররি (৩৫), মৃত ছৈয়দ করিমের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪৮) ও নুর মোহাম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫)। গত ১৯ জুলাই দ্রুত বিচার মামলা নং-০৭/১৮ শুনানী শেষে এ রায় দেন বিচারক তামান্না ফারাহ। একই সাথে মামলাটিও খারিজ করে দেন বিচারক।  রায়ের সময়  তিনজন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী সলিমুল মোস্তফা। তাকে সহযোগিতায়  ছিলেন এডভোকেট কুতুুবউদ্দিন ও এডভোকেট  জসিম উদ্দিন।

এর আগে গত ২৬ মার্চ টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি করেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডিলার ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম। মামলা নং-৪৯/১৮। এ মামলায় এজাহারনামীয় আসামী ৭ জন। অজ্ঞাতনামা রাখা হয় ৪/৫ জন। এ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নির্মলেন্দু চাকমা।
মামলায় বাদি অভিযোগ আনেন, গত ৭ মার্চ উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চালবোঝাই ট্রাক মহেশখালীয়াপাড়াস্থ দোকানের সামনে পৌঁছলে অভিযুক্তরা হতদরিদ্রের প্রতি পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিতরণে বাঁধা দেন। ন্যায্য মূল্যে চাল বিক্রি করতে হলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদীর অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায়  বিজ্ঞ বিচারক ৭ আসামীকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী সলিমুল মোস্তফা বলেন, মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিবেচনা করে সকল আসামীকে খালাস দেন।